ভালোবাসার শেষ বিকেল

ভালোবাসার শেষ বিকেল

 আমি তোমাকে খুব খুব খুব ভালোবাসি  আরমান। তুমি বুঝেও কেন বুঝতে চাচ্ছো না। আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো**
 বাকি কথা বলার আগেই আরুহির গালে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিলো রাকিব। সাথে সাথে আরুহির দুই চোখ দিয়ে দুইফোটা জল গড়িয়ে পড়ল।।
 ""তোর সাহস কি করে হলো আমাকে এসব কথা বলার, তোর বয়স কতটুকু হয়েছে তুই ভালবাসা টালোবাসার কি বুঝিস??? আর তুই ভুলে যাস না আমি তোর ফুপাতো ভাই, আর তুই আমার মামাতো বোন।। তাই বোন বোনের মতো থাকবি। এরপর আর কোন বাড়াবাড়ি করলে,,আজ একটা থাপ্পড় দিয়েছি পরেরবার কি করব আমি নিজেও জানি না বলে দিলাম""
 কথা গুলো বলেই আরমান হনহন করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
 এরপর, আরুহি মাটিতে বসে কাঁদতে লাগলো, আর আপন মনে বলতে লাগলো "কেন?কেন? কেন তুমি আমাকে বার বার এভাবে ফিরিয়ে দাও?  কেন আমার ভালবাসার এভাবে অপমান করো?  আমি তো এতটাও ছোট ছোট না যে ভালোবাসার মানে বুঝবো না
 এই আরুহি তুই এখনো তৈরি হসনি?  মা কখন থেকে তোকে নিচে ডাকছে। আরুশির ডাকে আরুহির ধ্যান ভাঙ্গে। এবারে সে তার আতীত থেকে বেরিয়ে আসে।  কি এত ভাবছিস তুই?  তোকে কখন বলেগেলাম শাড়িটা পরে তৈরি হয়ে নিতে।তুই এখনো বসে আছিস!!( আরুশি) 
আরুহি হঠাৎ তাচ্ছিল্যের এক হাসি দিয়ে বলে,
দিদি জানিস আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগের এই দিনে আরমান আমার ভালোবাসাকে অস্বীকার করেছিল।তার প্রতি আমার সকল অনুভূতিগুলোকে গলাটিপে হত্যা করেছিল!
"সে যাকে ভালোবেসে সব উজার করে দিয়েছিল সেই তাসফিয়া টাকার লোভে তাকে বিয়ের মন্ডব থেকে ছেড়ে নিজের এক্সের শাতে পালিয়ে গেছে। সেই অপমান সহ্য করতে না পারায় আরমানের আজ এই অবস্থা"  
"" যা হয়েছে তা সম্পূর্নই আল্লাহর ইচ্ছা, এতে আমাদের কারো  কোনো হাত নেই। সে তোর ভালোবাসকে অপমান করেছে আর তার জন্যই হয়তো তার ভালোবাসা তাকে ভরা মজলিসে অপমান করে চলে গেছে।  এবার তাড়াতাড়ি চল একটু পরই আরমানের যানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শেষ বারের মতো তাকে একবার দেখে আসবি চল"" ( আরুশি)   
 
 ৷৷ আল আমিন।।